জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার নিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল বা ক্যান্সেল করার নিয়ম এবং কত টাকা কত দিন লাগে

তোমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলে এখন গুচ্ছতে তোমার সিরিয়াল আসছে অথবা সাত কলেজে তোমার সিরিয়াল আসছে এখন কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ক্যান্সেল করবে সে বিষয়টি আমরা বিস্তারিত দেখাবো।

গতকাল আমার ছোট ভাইয়ের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করেছি তাই আজকে আমি তোমাদেরকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার সঠিক নিয়ম কি এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করতে কত টাকা লাগে? এবং কতদিন সময় লাগবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ক্যান্সেল করে মার্কশিট হাতে পেতে বিস্তারিত তোমাদের সাথে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ভর্তি যোগ্যতা, খরচ কত ও টিউশন ফি ২০২৫

আমি আমার ছোট ভাইয়ের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ক্যান্সেল করার সময় কি কি কাজ করেছি সকল কিছু আমার ফোনে স্ক্রিনশট এবং ছবি তুলে রেখেছি এগুলি তোমাদের সাথে শেয়ার করব. আশাকরি এসব দেখে দেখে তোমার অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করতে পারবা ইনশাআল্লাহ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ক্যান্সেল করার পদ্ধতি সমূহ

দুইটি প্রক্রিয়ায় আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করতে পারি একটি হচ্ছে অনলাইনে ঘরে বসে অথবা দোকানে গিয়ে, আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে ঢাকা গাজীপুর বোর্ড বাজারে যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস বা অফিস টি রয়েছে সেখানে গিয়ে সরাসরি ভর্তি ক্যান্সারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

আমি যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ক্যান্সেল করেছি তাই আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ফোন দিয়ে অথবা কম্পিউটার দিয়ে এই কাজটি করবেন তা ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার নিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের একটি দরখাস্ত লিখতে হবে তো দরখাস্ত্রটি আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি কিরকম ভাবে দরখাস্তটি লিখতে হবে।

অনার্স ভর্তি বাতিল করার জন্য দরখাস্ত

তারিখঃ ০১/০৯/২০২৫ইং

বরারব,
রেজিষ্টার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর।

মাধ্যমঃ
অধ্যক্ষ, আপনার কলেজের নাম, থাকা , জেলা।

বিষয়ঃ ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আপনার কলেজের নাম, অনার্স (সাবজেক্টের নাম) বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। বর্তমানে আমি (যে ভার্সিটিতে ভর্তি হবেন ভার্সিটির নাম) ভর্তি হওয়ার জন্য মনোনিত হয়েছি। তাই আমি ভর্তি বাতিল করতে চাচ্ছি।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা, উক্ত বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক ভর্তি বাতিল করে মূল নম্বরপত্র উত্তোলনের অনুমতি দিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক
আপনার স্বাক্ষর

আপনার নাম
অনার্স (সাবজেক্টের নাম )

শিক্ষাবর্ষঃ ২০২৪-২৫

ভর্তি রোলঃ ০০০০

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ক্যান্সেল করার জন্য আমার ছোট ভাইয়ের দরখাস্তটি যেভাবে লিখেছিলাম সেটার ছবি নিচে দেওয়া হল।

অনার্স ভর্তি বাতিল করার জন্য দরখাস্ত

এখানে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন বরাবর “রেজিস্টার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়” লিখতে হবে এবং মাধ্যম হবে আপনার কলেজের নাম।

আমরা অনেকেই ভুল করে বরাবর প্রধান শিক্ষক বা বরাবর প্রিন্সিপাল এমনটা লিখে ফেলি এমনটা লিখলে অবশ্যই হবে না।

এই দরখাস্ত টা এবং সাথে অবশ্যই তোমরা কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় যে ফর্ম টি অনলাইন থেকে তুলেছিলা এডমিশন কপি সেটা সহ তোমার ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছে যাবে সে একটি সিগনেচার করে দিবে এরপরে তোমাকে প্রিন্সিপালের রুমে পাঠাবে প্রিন্সিপাল এখানে আরো একটি সিগনেচার দিয়ে দিবে।

এটা হচ্ছে এডমিশন কপি

অনার্স ভর্তি বাতিল করার জন্য এডমিশন কপি
এডমিশন কপি

এখন যে কাজটি করতে হবে তোমার এই দরখাস্ত সহ আরেকটি কাগজ তোমার সংরক্ষণ করতে সেটা হচ্ছে তোমরা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার সময় যে একটি স্লিপ দিয়েছিল দেখতে অনেকটা এরকম আমি নিচে ছবি দিয়ে দিচ্ছি।

এডমিশন কপি

এই অংশটির সহ তুমি যে কোন কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে গেলে তারা তোমার কাজটি সুন্দরভাবে করে দিবে আর যদি চাও তুমি নিজে বাসায় বসে একা একা করবে তাহলে এই ভিডিওটি দেখে করতে পারবে।

অনলাইন থেকে ভর্তি বাতিলের আবেদনটি করার পরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তোমার এরকম দুটি পেপার চলে আসবে এই দুটি পেপার তোমার ডিপার্টমেন্টে দেখালে তোমাকে মার্কশিট দিয়ে দিবে, এই দুটি কাগজ তোমার হাতে পাওয়া মানে তোমার ভর্তি সঠিক ভাবে বাতিল হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার মানি রিসিট
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার final রিসিট

যদি কম্পিউটারের দোকান থেকে কর তাহলে কম্পিউটারে দোকানওয়ালা তোমাকে ফোন দিবে তুমি তার কাছ থেকে এই দুটি পেপার নিয়ে আসবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করতে কত টাকা লাগে

ভর্তি বাতিল করার জন্য তোমার ভার্সিটি ফ্রি নেবে ২০০ টাকা আর যদি তুমি দোকান থেকে করো তাহলে দোকানদারকে ১০০-১৫০ টাকা দিতে হবে এই হচ্ছে তোমার মোট খরচ ভর্তি বাতিল করার জন্য।

অনার্স ভর্তি বাতিল করতে কত দিন লাগে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করার জন্য সর্বোচ্চ 15 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে কিন্তু আমি যখন আমার ছোট ভাইয়ের জন্য করেছি তখন বেশি সময় লাগেনি আমার পাঁচ দিন সময় লেগেছে আমি প্রথমে কিছু ভুল করে ফেলেছিলাম তাই দুই দিন সময় বেশি লেগেছে তাছাড়া ২-৩ দিন সময়ে করা সম্ভব।

প্রথম দিন তোমরা দরখাস্ত টা নিয়ে কলেজে যাবে এবং কলেজের প্রিন্সিপাল এবং তোমার ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছ থেকে সিগনেচারটি নিয়ে আসবে সেই দিনে তুমি অনলাইনে আবেদন করে ফেলবে ভর্তি বাতিলের জন্য সেটা তুমি নিজে করো অথবা কম্পিউটারের দোকান থেকে কর।

এখানে একটা সমস্যা হচ্ছে যদি তুমি কোন কিছু ভুল করো তাহলে তোমার সময়টা বেশি লাগবে যেরকম আমার তোমায় যে ভুলটি হয়েছিল আমি ভর্তি বাতিলের আবেদন করার সময় যে ডকুমেন্ট গুলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবমিট করেছিলাম মনে করো দরখাস্তেখান ঐ ফাইলের নাম দরখাস্ত লিখতে হবে এবং যে স্টুডেন্ট কপি আমরা সাবমিট করেছিলাম সেখানে স্টুডেন্ট কপি লিখতে হবে প্রথমবার আমি এই ফাইলগুলোর নাম দিয়েছিলাম ১,২,৩,৪ এরকমভাবে দিয়েছিল।

তাই আমাকে প্রথমবার রিজেক্ট করে দিয়েছিল তারপর আমি আবার এডিট অপশন থেকে পুনরায় ফাইল গুলির নাম পরিবর্তন করে সাবমিট করেছি তখন ২ দিনের ভিতর আমার ভর্তি বাতিল সাকসেসফুল হয়েছে এবং ঐ দুইটি কাগজ দিয়ে দিয়েছে ডাউনলোড করার জন্য।

অনার্স ভর্তি বাতিল করতে কত দিন লাগে? তার সঠিক উত্তরটি হলো সঠিক ভাবে কাজ করলে কোনো ভুল না করলে ২-৩ দিন লাগবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *