৩৬ জুলাই
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ৩৬ শে জুলাই বলতে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট কে নির্দেশ করে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন পদত্যাগ করেন ও দেশ ত্যাগ করেন।
৩৬শে জুলাই মানে কী
বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র ৪ই আগস্ট (৩৫ জুলাই) থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় এবং ৫ আগস্ট ৩৬ শে জুলাই ঢাকায় তাদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
৫ ই আগস্টগণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন ও ভারতে পালিয়ে যান, আন্দোলনের এই সফলতাকে ঘিরে আন্দোলনকারীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা এবং এই দিনটিকে “৩৬ জুলাই” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
৩৬ জুলাই গ্রাফিতি

৩৬ জুলাই এর গ্রাফিতি


৩৬ দিন সম্বলিত জুলাই ২০২৪-এর ক্যালেন্ডারের গ্রাফিতি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর
ঢাকা শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত রয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর। যা অসহযোগ আন্দোলনে সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যখন নির্মাণ কাজ শেষ হয়, সেখানে তার অফিস শুরু করেন এবং যদিও তিনি নিজে ধানমন্ডির 32 নম্বর বাসভবনে বসবাস করতেন।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলে, হাজার হাজার জনতা মিলে গণভবনে প্রবেশ করে এবং সেখানে অনেকে উল্লাস করে এবং কিছু আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে দেখা যায়, এই ঐতিহাসিক স্থাপনা টিকে জনগণের স্মৃতিরক্ষার স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০২৫ সালে ১ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তিনি বলেছেন যে, জুলাই অবস্থান দিবসে জাদুঘরটি চালু করা হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর কোথায় অবস্থিত
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর | |
---|---|
ঠিকানা | শেরে বাংলা নগর |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের আহ্বায়ক
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় সংস্কৃতি হল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। যা গণঅভ্যুত্থান জাদুঘর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এবং এই জুলাই গণ গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের আহ্বায়ক হলেন ডক্টর এবাদুর রহমান।তিনি হলেন একজন শিক্ষক ও লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা।
এছাড়াও অনেকে কমিটির যোগ্য আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি মোঃ মাহফুজ আলম। সংবাদের মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এই কমিটির গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ কে ছিলেন ?
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংস্কৃতি জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় শহীদ আবু সাঈদকে।
জুলাই শহীদ আবু সাঈদ
জন্ম | ২০০১ পীরগঞ্জ উপজেলা, রংপুর জেলা, বাংলাদেশ। |
মৃত্যু | ১৬ জুলাই ২০২৪ (বয়স ২২–২৩) রংপুর, বাংলাদেশ। |
মৃত্যুর কারণ | বন্দুকের গুলি । |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী। |
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কত তারিখে শুরু হয়?
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় সংস্কৃতি হল জুলাই গণঅভ্যস্থান। যা মূলত হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লব বলতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে বুঝানো হয়েছে। কোটা সংস্কারকে ঘিরে ১৪ জুলাই শুরু হয়েছিল আন্দোলন। যা পরবর্তীতে দেখা যায় অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
৩৬ জুলাই কবিতা
নীল আকাশে গুঞ্জরিত এক আজন্ম অপেক্ষা,
বাতাসে ভাসে ৩৬ জুলাইয়ের স্বপ্নের সুর,
জাগে হৃদয়ের অজানা এক আলোকবর্ষ,
যেখানে সূর্য উদীয়মান, তবে দিন নেই ঘর।
মাঝে মাঝে কথা বলে মেঘেরা,
“তুমি কি শুনছো আমাদের গান?”,
তারা কী বলছে – প্রেম কি বিদ্রোহ?
অথবা বেদনার পাখা ছোঁয়া?
তোমার চোখে ভাসে অজস্র তারা,
তোমার হাসিতে মিশে বসন্তবালিকা,
তবু ৩৬ জুলাইয়ে যেন উচ্ছল এক জলপ্রপাত,
যা হারিয়েও ফিরে আসে, কাঁপায় আকাশপথিকা।
এই দিবস অচেনা, অচিন্ত্য,
কিন্তু হৃদয়ে মিশে গেছে,
তোমার নাম আর প্রথম আলো,
যা চিরন্তন প্রেমের দৃষ্টি পেয়েছে।
বিজয়-মিছিল নয়, শুধুই অকপট স্বর,
যা বলে “আমি বেঁচে আছি, তুমি বেঁচে আছো”—
৩৬ জুলাই, নামহীন কনিয়া এক মঙ্গলদাতা,
যিনি আনেন প্রেম আর বিদ্রোহের নতূন নীড়।
তুমি কি শুনো?
এই দিন আলো-ছায়ার খেলা,
যেখানে আমার প্রাণ লেখে চিরন্তনী তূণীর মতো—
৩৬ জুলাই: আমার, তোমার, আমাদের স্বাধীনতার কবিতা।
৩৬ জুলাই সম্পর্কে অনুচ্ছেদ
নবদিগন্তে শব্দিত হলো “৩৬ জুলাই”—অচেনা এক বিদ্রোহের দিন,
যেখানে মেঘেরা ডাকে সকালের প্রথম আভাসে,
তবু ভাঙে না দম, কেননা প্রত্যাশার অন্ত নেই,
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই—এই বিশ্বাসে আঁকে হৃদয়
এক নতুন পৃথিবীর ছবি, সাম্যের সঙ্গীত আর শান্তির ভাষায়।
সে দিন সূর্য নয়, জাগ্রত হবে মানুষের নিজের আলো,
ধর্ম-বেদনার সীমা ভেঙে গড়ে উঠবে এক মানবিক নবরূপ,
যেখানে “আমি হিন্দু, আমি মুসলমান”—হবে একক্ষণিক সত্য,
এবং “বিদ্রোহী” হয়ে উঠবে প্রতিটি হৃদয়,
বেদনার বদলে বসবে প্রেম, শোষণে জাগবে প্রতিরোধ,
৩৬ জুলাই—নামহীন সেই কনিয়া, বয়ে আনবে মুক্তির গান।
বিশ্লেষণ:
- বিদ্রোহ ও সাম্যবাদের স্পন্দন: “মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই”—এটি নজরুলের সাম্যবাদী মানবতাবাদী দৃষ্টির স্রোত বহন করে
- ধর্মনিরপেক্ষতা ও ঐক্য: “আমি হিন্দু, আমি মুসলমান”—এ জনপ্রিয় নজরুলীয় উক্তির আভাস, যা ধর্ম-বিরোধের বাইরে মানবতার সমতার দাবি করে ।
- আবেগঘন রূপক ও ছন্দ: “৩৬ জুলাই” কে বিদ্রোহী ও প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার, যা নজরুলের বিদ্রোহী ও প্রেমচেতনার সংমিশ্রণের মতো ।
- নবপ্রতিজ্ঞা সৃষ্টি: শেষ লাইনগুলোতে “মুক্তির গান” ও “প্রতিটি হৃদয় বিদ্রোহী”—এতে নতুন স্রষ্টিৰ আশা ও সংগ্রামের অবয়ব ফুটে উঠেছে, নজরুলের “বিদ্রোহী” কবিতার সুরে

আমি রাহমিম খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমি লেখা পড়ার পাশাপাশি লেখা লেখি করতে খুবই ভালোবাসি তাই আমার এই ব্লগ ওয়েবসাইটে আপনাদের সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করে থাকি।